ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সত্য খবরের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে শত্রুঘ্ন–মমতা–সৌরভ এক মঞ্চে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এবারও কলকাতা পরিণত হয়েছে সিনেমার শহরে—এক উৎসবের নগরে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধনধান্য অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদীপ প্রজ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা, পরিচালক রমেশ সিপ্পি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী ও বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়।

উদ্বোধনী মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান করেন দুই বরেণ্য শিল্পী—শত্রুঘ্ন সিনহা ও আরতি মুখোপাধ্যায়কে। এরপর প্রদর্শিত হয় উৎসবের উদ্বোধনী ছবি—উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত ক্লাসিক চলচ্চিত্র ‘সপ্তপদী’।
এ বছর উৎসবের আয়োজন কিছুটা সংযত হলেও গাম্ভীর্য ও ঐতিহ্যে ছিল পূর্ণ। বলিউডের বড় তারকাদের উপস্থিতি না থাকলেও দেশ–বিদেশের সিনেমাপ্রেমী, চলচ্চিত্রকার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিড়ে জমে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। উৎসবের আমেজ ছিল স্পষ্ট।

১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এবারের উৎসব। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ৩৯টি দেশের মোট ২১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৩০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র। প্রদর্শিত হবে ভারতের কোঙ্কনি, বোরো, তুলু ও সাঁওতালি ভাষার ছবিও।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, গত বছরের মতো এবারও উৎসবে বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র স্থান পায়নি। কলকাতা ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকে।

এবারের উৎসবে বিশেষ সম্মান জানানো হচ্ছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের ছয় কিংবদন্তিকে—ঋত্বিক ঘটক, গুরু দত্ত, সন্তোষ দত্ত, রাজ খোসলা, সলিল চৌধুরী ও রিচার্ড বার্টনকে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ ছবির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সত্যজিৎ রায় মেমোরিয়াল লেকচার, যেখানে বক্তব্য দেবেন স্বয়ং সিপ্পি নিজেই।

ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে উৎসবে প্রদর্শিত হবে তাঁর পাঁচটি কালজয়ী চলচ্চিত্র—‘অযান্ত্রিক’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ও ‘কোমল গান্ধার’।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চলচ্চিত্র প্রদর্শন। উৎসব চলবে কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে—রবীন্দ্র সদন, নন্দন ১–২–৩, শিশির মঞ্চ, স্টার থিয়েটার, রবীন্দ্র–ওকাকুরা ভবন, সিনেমা সেঞ্চুরি বিল্ডিং, নজরুল তীর্থ, নবীনা, বিনোদনী, মেনকা, অজন্তা, পিভিআর মনি স্কয়ার, আইনক্স মেট্রো, কোয়েস্ট মল, সাউথ সিটি, গ্লোব, নিউ এম্পায়ার ও প্রাচী সিনেমায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে শত্রুঘ্ন–মমতা–সৌরভ এক মঞ্চে

আপডেট সময় : ০৭:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এবারও কলকাতা পরিণত হয়েছে সিনেমার শহরে—এক উৎসবের নগরে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধনধান্য অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদীপ প্রজ্বালন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা, পরিচালক রমেশ সিপ্পি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী ও বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়।

উদ্বোধনী মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান করেন দুই বরেণ্য শিল্পী—শত্রুঘ্ন সিনহা ও আরতি মুখোপাধ্যায়কে। এরপর প্রদর্শিত হয় উৎসবের উদ্বোধনী ছবি—উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত ক্লাসিক চলচ্চিত্র ‘সপ্তপদী’।
এ বছর উৎসবের আয়োজন কিছুটা সংযত হলেও গাম্ভীর্য ও ঐতিহ্যে ছিল পূর্ণ। বলিউডের বড় তারকাদের উপস্থিতি না থাকলেও দেশ–বিদেশের সিনেমাপ্রেমী, চলচ্চিত্রকার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিড়ে জমে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। উৎসবের আমেজ ছিল স্পষ্ট।

১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এবারের উৎসব। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ৩৯টি দেশের মোট ২১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৩০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র। প্রদর্শিত হবে ভারতের কোঙ্কনি, বোরো, তুলু ও সাঁওতালি ভাষার ছবিও।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, গত বছরের মতো এবারও উৎসবে বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র স্থান পায়নি। কলকাতা ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকে।

এবারের উৎসবে বিশেষ সম্মান জানানো হচ্ছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের ছয় কিংবদন্তিকে—ঋত্বিক ঘটক, গুরু দত্ত, সন্তোষ দত্ত, রাজ খোসলা, সলিল চৌধুরী ও রিচার্ড বার্টনকে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ ছবির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সত্যজিৎ রায় মেমোরিয়াল লেকচার, যেখানে বক্তব্য দেবেন স্বয়ং সিপ্পি নিজেই।

ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে উৎসবে প্রদর্শিত হবে তাঁর পাঁচটি কালজয়ী চলচ্চিত্র—‘অযান্ত্রিক’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ও ‘কোমল গান্ধার’।

শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চলচ্চিত্র প্রদর্শন। উৎসব চলবে কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে—রবীন্দ্র সদন, নন্দন ১–২–৩, শিশির মঞ্চ, স্টার থিয়েটার, রবীন্দ্র–ওকাকুরা ভবন, সিনেমা সেঞ্চুরি বিল্ডিং, নজরুল তীর্থ, নবীনা, বিনোদনী, মেনকা, অজন্তা, পিভিআর মনি স্কয়ার, আইনক্স মেট্রো, কোয়েস্ট মল, সাউথ সিটি, গ্লোব, নিউ এম্পায়ার ও প্রাচী সিনেমায়।